Amar Shonai Shohaga Bangladesh
Population of Bangladesh estimated about 130 millions.
Total Area of Bangladesh – 144,000 sq kilo meter. Combination of Land: 133,910 square kilo meter and Water: 10,090 square kilo meter
National Days of Bangladesh ~ » Martyrs Day (unforgettable February 21st) » Independence Day (March 26th) and Victory Day (December 16th)
Bangladesh ~
Bangladesh is the only country on the world map derived from the Glorious Language movement of 1952, culminating in the bloody birth of our nation in 1971.
Bangladesh is the 3rd largest populated Muslim country in the world. Its language “Bangla” is the 6th most widely spoken language in the world, and Bangla is expected to become one of the official languages of the United Nation.
Bangladesh is also home to great ecological diversity. Is forest, “The Sundarbans” has been nominated to be one of the new 7 Wonders of Beauty for 2011. Bangladesh also known to be one of the longest sea beach in the world “Coxes Bazar” which was nominated to be one of the new 7 Wonders of Beauty for 2009.
Ekushe February ~
21st February was proclaimed the International Mother Language Day by UNESCO on 17th November 1999. Its observance was also formally recognized by the United Nations General Assembly in its resolution establishing 2008 as the International Year of Languages.
The International Mother Language Day is being observed every year in UNESCO’s Member States and at its Headquarters to promote linguistic and cultural diversity and multilingualism
On that day of 21st February 1952, corresponding to 8 Falgun 1359 in the Bangla calendar, a number of students campaigning for the recognition of Bangla as one of the state languages of Pakistan were killed when police fired upon them. Mohammed Ali Jinnah(the Governor general of Pakistan) declared that the Urdu will be the only language for both west and east Pakistan at a public meeting on 1948, 21st March. The people of the East Pakistan (now Bangladesh, whose main language is Bengali) started to protest against this. A student meeting on 21st February called for a province-wide strike. But the government invoked Section 144 on 20 February. The student community at a meeting on the morning of 21 February agreed to continue with their protest but not to break the law of Section 144. Even then the police opened fire and killed to the student’s procession.
Declaration of independence ~
The violence unleashed by the Pakistani forces on 25th March 1971, proved the last straw to the efforts to negotiate a settlement. Following these outrages, Sheikh Mujibur Rahman signed an official declaration that read:
Today Bangladesh is a sovereign and independent country. On Thursday night, West Pakistani armed forces suddenly attacked the police barracks at Razarbagh and the EPR headquarters at Pilkhana in Dhaka. Many innocent and unarmed have been killed in Dhaka city and other places of Bangladesh. Violent clashes between E.P.R. and Police on the one hand and the armed forces of Pakistan on the other, are going on. The Bengalis are fighting the enemy with great courage for an independent Bangladesh. May Allah aid us in our fight for freedom. Joy Bangla. Sheikh Mujib also called upon the people to resist the occupation forces through a radio message. Mujib was arrested on the night of 25–26 March 1971 at about 1:30 a.m. (as per Radio Pakistan’s news on 29th March 1971). A telegram containing the text of Sheikh Mujibur Rahman’s declaration reached some students in Chittagong. The message was translated to Bangla by Dr. Manjula Anwar. The students failed to secure permission from higher authorities to broadcast the message from the nearby Agrabad Station of Radio Pakistan. They crossed Kalurghat Bridge into an area controlled by an East Bengal Regiment under Major Ziaur Rahman. Bengali soldiers guarded the station as engineers prepared for transmission. At 19:45 hrs on 27th March 1971, Major Ziaur Rahman broadcasted from the Shadhin Bangla Betar Kendro the announcement of the Declaration of Independence “People’s Republic of Bangladesh” on behalf of Sheikh Mujibur Rahman. We shall fight to the last to free our Motherland. By the grace of Allah, victory is ours.
অমর একুশে
বাংলাদেশের ইতিহাসে মহান শহীদ দিবস বা অমর একুশে একটি করুন, বিষাদময় আবার অন্যদিকে চূড়ান্ত গৌরবের দিন। একদিকে মাতৃভাষার মর্যাদার জন্য বাঙালি হারিয়েছে আপনজন, অন্যদিকে সেই আত্নত্যাগের স্বীকৃতি বয়ে এনেছে আন্তর্জাতিক সন্মান ও পরিচয়। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি জাতিসঙ্ঘের সদস্যদেশসমূহে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে।। ২০১০ সালের ২১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৫তম অধিবেশনে এখন থেকে প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করবে জাতিসংঘ। – এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে পাস হয়েছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের প্রস্তাবটি সাধারণ পরিষদের ৬৫তম অধিবেশনে উত্থাপন করে বাংলাদেশ। গত মে মাসে ১১৩ সদস্যবিশিষ্ট জাতিসংঘের তথ্যবিষয়ক কমিটিতে প্রস্তাবটি সর্বসম্মতভাবে পাস হয়।
ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস
বঙ্গীয় সমাজে বাংলা ভাষার অবস্থান নিয়ে বাঙালি মুসলমানের আত্ম-অম্বেষায় যে ভাষাচেতনার উন্মেষ ঘটে, তারই সূত্র ধরে বিভাগোত্তর পূর্ববঙ্গের রাজধানী ঢাকায় ১৯৪৭ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভাষা-বিক্ষোভ শুরু হয়। ১৯৪৮ সালের মার্চে এ নিয়ে সীমিত পর্যায়ে আন্দোলন হয় এবং ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি তার চরম প্রকাশ ঘটে।
ঐদিন সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ১৪৪ ধারা অমান্য করে রাজপথে বেরিয়ে এলে পুলিশ তাদের ওপর গুলি চালায়। এতে আবুল বরকত, আবদুল জব্বার ও আবদুস সালামসহ কয়েকজন ছাত্রযুবা হতাহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ ঢাকাবাসী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলে সমবেত হয়। নানা নির্যাতন সত্ত্বেও ছাত্রদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ জানাতে পরের দিন ২২ ফেব্রুয়ারি পুনরায় রাজপথে নেমে আসে। তারা মেডিকেল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে শহীদদের জন্য অনুষ্ঠিত গায়েবি জানাজায় অংশগ্রহণ করে। ভাষাশহীদদের স্মৃতিকে অমর করে রাখার জন্য ২৩ ফেব্রুয়ারি এক রাতের মধ্যে মেডিকেল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে গড়ে ওঠে একটি স্মৃতিস্তম্ভ, যা সরকার ২৬ ফেব্রুয়ারি গুঁড়িয়ে দেয়। একুশে ফেব্রুয়ারির এই ঘটনার মধ্য দিয়ে ভাষা আন্দোলন আরও বেগবান হয়। ১৯৫৪ সালে প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট জয়লাভ করলে ৯ মে অনুষ্ঠিত গণপরিষদের অধিবেশনে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
তখন থেকে প্রতি বছর এ দিনটি জাতীয় ‘শোক দিবস’ হিসেবে উদ্যাপিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর একুশে ফেব্রুয়ারি সরকারি ছুটির দিন হিসেবে ঘোষিত হয়। এদিন শহীদ দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে রেডিও, টেলিভিশন এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলি বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। দেশের সংবাদপত্রগুলিও বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে।
১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি যে চেতনায় উদ্দীপিত হয়ে বাঙালিরা রক্ত দিয়ে মাতৃভাষাকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছিল সেই চেতনার পথ ধরেই বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্নপ্রকাশের স্বপ্ন দেখতে উজ্জীবিত হয় আর তার ফলশ্রুতিতে জন্ম হয় বাংলাদেশের। শুধু তাই নয়, আজ সেই আত্নত্যাগের মহিমা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি লাভ করেছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল ১৯৭১ সালে সংঘটিত তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের সশস্ত্র সংগ্রাম, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ হিসাবে পৃথিবীর বুকে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ এই যুদ্ধের সূচনা ঘটে, যখন পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী রাতের অন্ধকারে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। পঁচিশে মার্চের কালো রাতে পাকিস্তানী সামরিক জান্তা ঢাকায় অজস্র সাধারণ নাগরিক, ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, পুলিশ হত্যা করে। সারাদেশে শুরু হয়ে যায় মুক্তিযুদ্ধ। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস, ইস্ট পাকিস্তান পুলিশ, সামরিক বাহিনীর বাঙ্গালী সদস্য এবং সর্বোপরি বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী সাধারণ মানুষ দেশকে মুক্ত করতে গড়ে তোলে মুক্তিবাহিনী। এদিকে ২৭ শে মার্চ মেজর জিয়াউর রহমান, বঙ্গবন্ধুর পক্ষের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র “বেতার বাংলা” থেকে স্বাধীনতার ঘোষনা পাঠ করলে তা আরও ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে। গেরিলা পদ্ধতিতে যুদ্ধ চালিয়ে মুক্তিবাহিনী সারাদেশে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে। মুক্তিবাহিনীর আক্রমনে পাকিস্তানের দখলদারী বাহিনীর পতন ত্বরান্বিত হয়। ১৬ই ডিসেম্বর ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তান ৯৩,০০০ হাজার সৈন্যসহ আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে। স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মের মধ্য দিয়ে পরিসমাপ্তি ঘটে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের। জন্ম হয় একটি নতুন স্বাধীন দেশ-
আমাদের সোনায় সোহাগা বাংলাদেশ!
‘পটভূমি তার শহীদ মিনার‘ ~ স্মৃতির মিনার তলিয়ে যায় বিস্মৃতির অতলে
১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার রাজপথ রঞ্জিত হলো শহীদের রক্তে। ভাষার দাবিতে ওই দিন যারা শহীদ হলেন, তাদের স্মৃতি রক্ষার্থেই গড়ে তোলা হল শহীদ মিনার। শাসক গোষ্ঠী ওই মিনার ভাঙ্গতেও দেরি করেনি। আর তাই কবি লিখেন, ‘স্মৃতির মিনারা ভেঙেছে তোমার? ইটের মিনার ভেঙেছে ভাঙুক।’ আর দেশজুড়ে গড়ে উঠতে একের পর এক শহীদ মিনার। ভাষা আন্দোলনের মূর্ত এই প্রতীকটি হয়ে উঠল যাবতীয় আন্দোলন-সংগ্রামের কেন্দ্রবিন্দু। সেই থেকে সামাজিক ও রাজনৈতিক দুর্বিপাকে আমরা জড়ো হয়েছি শহীদ মিনারের পাদদেশে। শহীদ মিনারকে সামনে রেখে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি, গড়েছি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মোর্চা, সংস্কৃতি চর্চার জোট। এখান থেকেই আমরা বলছি দেশের কথা, দশের কথা। তাই বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের যে পটভূমি তার ইতিহাস রচনা করব আমরাই।স্মৃতির এ পবিত্র মিনারটি কেন সারাবছরই পবিত্র রয় না আমাদের কাছে।
No comments